মামুনুর রশীদ মামুন,কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রামে স্কুলগামী ছাত্রীকে উত্যক্ত করতে বাধা দেয়ায় জেরে এক তরুণকে ছুড়িকাঘাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একদল যুবকের বিরুদ্ধে। আহত যুবক মোঃ জামিল হোসেন(১৮) বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত ঐ যুবক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সুভারকুটি গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের পুত্র।

রবিবার(১২ জুন) সকাল ১১ টার দিকে কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউনিয়নের সুভারকুটি গ্রামের সজেনার মোড়ের ব্রিজের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
একইদিন বিকেলে সুভারকুটি গ্রামের মতিয়ার রহমানের পুত্র মোঃ আহিদুল ইসলাম ( ১৯ ), একই গ্রামের মো. আব্দুলের পুত্র মোঃ আনিছুর রহমান (২০) সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে কুড়িগ্রাম সদর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী যুবকের পিতা মো. আব্দুস সাত্তার।

এজাহারে উল্লেখিত অপর ৩ জন যুবক চর সুভারকুটি গ্রামের নুর ইসলামের পুত্র মোঃ মাসুম মিয়া (২২), আরাজি পলাশবাড়ী গ্রামের মৃত দেলবর হোসেনের পুত্র আকাশ মিয়া(২০) এবং খলিফার মোড় এলাকার জাহিদ হাসান(২১)।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবক জামিলের চাচাতো ভাই মো. মহুবর আলী জানান, আহিদুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন নিয়মিত এলাকার স্কুলগামী ছাত্রীদের রাস্তায় উত্যক্ত করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অতীতে একাধিকবার বাধা দেয়া হলেও কাজ হয়নি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জামিলের বন্ধু আশিক জানায়, রবিবার সকাল ১১ টার দিকে জামিল সহ আমরা মোট ৩ জন বন্ধু সজেনার মোড়ের ব্রিজের পাশে পৌঁছালে আহিদুল সহ মোট ৫ জনের একটি দল স্কুলগামী একটি মেয়েকে উত্যক্ত করার বিষয়টি নজরে আসে। এবং তারা বাধা দেয়। এর একপর্যায়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে দুই পক্ষ। ঘটিনাটি হাতাহাতির পর্যায়ে গড়ালে উত্যক্তকারী দলের একজন সদস্য  জামিল ইসলামের পেটে ধারালো কিছু একটা ঢুকিয়ে দেয় এবং জামিল মাটিতে লুকিয়ে পরে। জামিলের বাকি দুই বন্ধু তৎক্ষনাৎ তাদের আটক করলেও জামিলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তারা জামিলকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। এই সুযোগে আহিদুল সহ তার দলের ৫ জন সদস্য পালিয়ে যায়। এরপর  জামিলের বন্ধুরা তাকে দ্রুত বাড়িতে এবং পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে।

এব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেহেতু কোন মেয়ে উত্যক্ত করার বিষয়ে কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত করেনি তাই উত্যক্ত ক্ক্রার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত নই। তবে দুই পক্ষের হাতাহাতির এক পর্যায়ে ছুড়িকাঘাতে এই ঘটনা ঘটে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বিস্তারিত তদন্তের পর বলা সম্ভব হবে।